হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, কসবেড়িয়া, মেদিনীপুর (পশ্চিমবঙ্গ):
পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার কসবেড়িয়া গ্রামে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো একটি ভাবগম্ভীর ও হৃদয়স্পর্শী ধর্মীয় মজলিস। এই মজলিসে আলোচিত হয় ইসলামের শেষ রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর উম্মতের জন্য কী রেখে গেছেন—বিশেষ করে পবিত্র কোরআন ও আহলে বাইতের গুরুত্ব নিয়ে গভীর আলোচনা হয়।
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মুনির আব্বাস নাজাফী মজলিসে বলেন, রাসূলে খোদা (সা.) তাঁর উম্মতকে দ্বীনের সঠিক পথ দেখাতে দুইটি অমূল্য সম্পদ দিয়ে গেছেন—আল-কোরআন ও আহলে বাইত। এই দুটি নির্দেশনা মানুষকে সত্য, ইনসাফ ও ন্যায়ের পথ দেখায়।
আলোচনায় কারবালার উদ্দেশ্য ও তার শিক্ষা নিয়ে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়।
মাওলানা বলেন, কারবালা শুধুই ইতিহাস নয়, এটি একটি চেতনা, একটি বিপ্লব, একটি নৈতিকতার মশাল। মাওলা হোসেন (আ.) ৭২ জন সঙ্গী নিয়ে কারবালার প্রান্তরে শহীদ হন শুধু তলোয়ারের লড়াইয়ের জন্য নয়, বরং সত্য, ন্যায় এবং জালিমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শিক্ষা দিতে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নারীদের কারবালায় সঙ্গে নেওয়া হয়েছিল যেন শহীদদের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। যুলুমের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিবাদ করতে হয়, সেই বার্তাটি পৌঁছে দিতে বোন জয়নব (সা.)-এর ভূমিকা ছিল অনন্য। তাঁরা ছিলেন চলমান কোরআন ও ন্যায়বিচারের প্রতিনিধি।
মজলিসের শেষ অংশে শহীদ শিশু আলী আজগরের মর্মান্তিক কাহিনি (মাসায়েব) পাঠ করা হয়, যা উপস্থিত সকলকে আবেগে আপ্লুত করে তোলে।
গুরুত্বপূর্ণভাবে উল্লেখযোগ্য যে, এই মজলিসে কেবল শিয়া মুসলমানই নয়, আহলে সুন্নাত ভাইয়েরাও অংশগ্রহণ করেন, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠে।
আপনার কমেন্ট